All posts by Rolling2Wheels

Passionate about biking, traveling, creating videos, blogging. Do check my youtube channel - https://www.youtube.com/c/Rolling2Wheels FB Page: https://www.facebook.com/rolling2wheelsr2w

Poor Traveler

I am a poor guy, i travel poorly.

I make no plans, sometimes have no fixed destination, don’t pack my necessary properly…Once i traveled for 3 days, with nothing almost. All i had a waist bag and in it i had my phone, moneybag, a towel and a extra underwear. That’s it. I wore the same pants, same t-shirt…

So how do i travel?

off course, on a bike if everything goes well…and if i have the money to buy fuel…

Apart from that most of the time, i carry a certain scenario in my head and along my way i keep searching for it. for example, right now i want to be in a place where there is a road covered by dried trees on both sides, dried leaves are scattered on the road. So if i am to leave on my bike, i would go out and keep on riding until i find such a place. If not, i will come back with an empty heart or find something else to satisfy my hunger.

That is the way i like to travel.

Yes off course, i like to ride..in that case, i don’t even need to look for anything. I just ride. and when i am in that mode, i don’t like to take a break until i can’t go anymore. cause my butt is aching or my back or something physiological like hunger, thirst etc.

Now who would want to coupe with such things?

Most people like things in a position that suits them according to their preference. What do i mean by that? Once i traveled to coxsbazar…and slept for the rest of the day and the night and left early in the morning…but others were enjoying, swimming in the pool, eating sea food, walking on the beach blah blah etc etc. all i did was ride and sleep and offcourse eat.

so yes, I also have a few preferences but those are so inconsequential according to standard book that you may as well call them nothing. So i write them here, best dairy or book i maintain for free (somewhat).

Anyways it is becoming too long, even for me to write let alone read the whole thing again. LOL…So mistakes can happen. it is raw and for some reason i like things in that way, it makes me feel like a human being, not a machine…i hate to be a machine at the same time i strive to be one. i don’t know if it is understandable or not. it’s ok, i am used to being misinterpreted or one can say, i have no preference there.

May Allah help us to know ourselves more coz knowing ourselves is half the solution of all issues.

Unmarked Destination

সবকিছুরই একটা সময় আছে। তাই সময়মত সেসব না করলে পরে হাজার চাইলেও কেন যেন আর করা হয়ে উঠে না।

তাহলে কিসের জন্য বসে আছেন?

হাজার টাকা, প্রভাব, ক্ষমতা কিছুই আপনাকে সহায়তা করবে না সেসব দিন ফিরে পেতে। তাই সময় থাকতে ভুল করে হলেও সময়ের কাজ সময়েই করুন। পরবর্তীতে নানা কিছু নিজেকে বুঝাতে পারবেন কিন্তু কাজগুলো আর করতে পারবেন না কিছুতেই।

আমি আর যাই করি, যেন আফসোস না থাকে সেই নীতিতে বিশ্বাসী। কষ্টটা সয়ে যায় কিন্তু আফসোস বয়ে বেড়াতে হয়। তাই ভুল করে করি আর যেভাবেই করি, আফসোস করার সুযোগ রাখতে বড়ই নারাজ আমি।

আপনি যদি অর্থ, ক্ষমতার স্বপ্ন দেখেন তাহলে আপনাকে সে পথেই হাটতে হবে, এ নিয়ে দ্বিমত করার কিছু নেই। কিন্তু যদি তা না হয়, তাহলে জীবনের মূল্যবান সময়গুলো কেন কেবলই অলীক স্বপ্নের পেছনে ছুটে বেড়াবেন। ছায়া ধরার জন্য স্পীড খেয়ে লাভ কি? বরং আলোর দিকে ছুটে চলুন, ছায়াই আপনার পেছনে ছুটতে ছুটতে হারিয়ে যাবে।

হারিয়ে যাবার নেশাটা বড্ড বেয়াড়া হয়। স্বপ্নের মত চেনা মুখগুলো কেবল হাতছানিতে ডাকে কিন্তু কোথায় যেন হারাবার তাড়নাই ভাসিয়ে নিয়ে চলে অপরিচিত গন্তব্যে। বৈচিত্রময় কাংক্ষিত বা অনাকাংক্ষিত নতুন নতুন ঢেউয়ে চড়ে ভাসবেন আপনি।

এক জায়গায় বেশিদিন থাকা হলো না আর।
– কোথায় তুমি? উদ্বিগ্ন কন্ঠে জানতে চাইলো রিকিশি
– জানি না। জায়গার নাম তো কোথাও লেখা নেই।
– খেয়েছ কিছু?
– না…কিছু খেতে ইচ্ছে হয়নি। কোথায় যেন যাবার তাড়া, তাই সারাদিন কেবল বাইক চালালাম।
– তা যাচ্ছ কোথায়?
– সেটাও তো জানি না। যতক্ষণ চালাতে মন চাবে, এরপর যেখানে পৌছাব সেখানে রাত্রিযাপন।

হারাবার সুযোগ যখন আর পাবেন না, চিরচেনা সৌখিনতাও তখন দমবন্ধ লাগে।

তাই তো আর যাওয়া হয় না, যেখানে যাবার কথা। সবাই-ই হারিয়ে যায় নিজ নিজ অজানার ভিড়ে।

হারিয়ে যাক সবাই, ভাল থাকুক সবাই…

আমার বাইকিং

লেখাটি আমার বাইকিংকে ঘিরে। অভিজ্ঞতা নয় বরং আমি কিভাবে দেখি তারই একটি চিত্র আপনি দেখতে পাবেন। আশা করি আপনিও নিজের ধারণার সাথে মিলিয়ে নিতে পারবেন এবং বাইকিং জীবনকে নতুনভাবে খুজে পাবেন।

একটি স্বপ্নের মোটরসাইকেল

আমরা সবাই-ই কম্ বেশি এখান থেকেই শুরু করেছি। এভাবে সেভাবে যেভাবেই হোক একটি স্বপ্ন তাড়িত করেছে প্রতিনিয়ত। একটি বাইক, যেন কেবল বাহন নয়, নিজের একটি অঙ্গ। নিজের একটি ভিন্ন অস্তিত্ব। যেন এক ভিন্ন মোহ, নেশা। কিন্তু সব মিলিয়ে কেন যেন দিন দিন স্বাদ কমতে থাকে। কারণ আজকে এই বাইক ভাল লাগে তো কাল আরেকটা। এই বাইকের পাওয়ার ভাল লাগে তো, আরেকটার সৌন্দর্য্য কিংবা আরেকটার এক্সহস্টের শব্দ। তাই কেউ কেউ একের পর এক বাইকে কিনতেই থাকে, আজকে এটা তো কাল আরেকটা।
তাই নিজেই নিজের স্বপ্নের বাইকটি দিনের পর দিন গড়ে তোলার যে আনন্দ তা মনে হয় না আর কিছু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব আমার পক্ষে। কখনও নিজ হাতে, কখনও আর কাউকে দিয়ে দিনের পর দিন, প্রতিনিয়ত এই কাট ছাট করার যে নিরলস প্রক্রিয়া, তা কি কেবল টাকা দিয়ে বাইক কিনে কোনদিন খুজে পাওয়া সম্ভব। যে বা যারা একবার এই স্বাদ পেয়েছেন তাদের আর বাইকিং ফুরোবার নয়। কারণ যে বাইকটি এক সময় কেবলই একটি মেশিন ছিল তা দিন দিন শেকড় গজিয়ে আষ্টেপিষ্টে আপনাকে জড়িয়ে এক মহিরুহ প্রাণবন্ত বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। যেন শিল্পীর তুলির আচড়ে প্রান পাওয়া একটি ক্যানভাস। যার প্রতিটি অংশের পেছনে আছে এক একটি গল্প, শ্রম, অপেক্ষা, আশা-হতাশা, উদ্দেশ্য। কিছুই যেন উদ্দেশ্যবিহীন নয়। এমনকি বাইকের উচ্চতা থেকে শুরু করে নাম্বার প্লেটটি পর্যন্ত।
It’s a long game and only a handful can play it. You can win or lose, it matters very little in the end, what matters the taste it left in you, a lifetime of exhilarating experience. A continuous excitement of success and failure.

কেউ ছুটে চলেছে পার্ফরমেন্স নিয়ে, কেউ সৌন্দর্য্য নিয়ে, কেউ ভ্রমণ করার জন্যে, কেউ যে কোন রাস্তা দিয়ে চলার জন্যে, কেউ বা স্টান্ট করার জন্যে, কেউবা আরো নির্দিষ্ট কোন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যে। কাউকে ফেলে কাউকে আপনি এগিয়ে রাখতে পারবেন না।

দিনের পর দিন এভাবে সেভাবে যেভাবেই হোক গড়ে তুলেছেন কিংবা গড়ে তুলছেন আপনার একান্ত নিজের একটি স্বপ্নের বাইক। বাজার থেকে কিনে আনা নয়, নিজে পছন্দ করে নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে নিজের করে গড়ে নেয়া একটি স্বপ্নের মোটরসাইকেল।
আর এই স্বপ্ন যেন ফুরোবার নয়…

কোনঠাসা, একগুয়ে মানসিক গঠন

ছকে বাঁধা জীবন। হাসফাস করে নিজেকে মেলে ধরতে। সব আছে তবুই কিসের যেন অপূর্নতা, কোথায় যেন এক শুন্যতা। দূর থেকে যেন ভেসে আসে এক চাপা ক্রন্দনরত সুর। কেবল এই পয়েন্টলেস যান্ত্রিক জীবনটাকেই কি টেনে নিয়ে যেতে হবে? বাকিটা সময় কি একই কবিতা বারবার লিখে যেতে হবে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা জুড়ে। একই শব্দ, একই ছন্দ, একই তাল, একই গঠন, একই আবেগ, একই স্বাদ, একই সবকিছু। মন চায় সব ছেড়ে ছুড়ে বের হয়ে যেতে কিন্তু বের হওয়া হয়ে উঠে না। কোন ফাকে যেন হারিয়ে গিয়েছে সেই কৈশোরের সাহস কিংবা নতুনকে আঁকড়ে ধরার প্রেরণা। ফলশ্রুতিতে দিন দিন কোনঠাসা একগুয়ে মানসিকতা ক্লান্ত করে তুলেছে ভেতরে ভেতরে। পুরনো ছাত্রজীবনের সেই হাস্যোজ্জ্বল সময়গুলো মাঝে মাঝে স্বপ্নের মতই এসে উঁকি দেয়। আপনি বড় হয়েছেন ঠিকই কিন্তু হারিয়ে ফেলেছেন আপনার নিজেকেই। কোথায় যেন যাবার কথা ছিল?

এরকম একটি পয়েন্ট থেকেই আমার বাইকিং শুরু, আরো অনেকেরই শুরু হয়েছে এভাবে। কিংবা ভিন্ন কোন পথে। যেভাবেই গল্পের শুরু হোক না কেন, আমরা কেউই একা বা একমাত্র নই। দুই চাকার জগতে না আসলে এই কথাটা হয়ত অজানা থেকে যেত আমার কাছে। সবকিছুতেই আমার মত আরো অনেকেই আছে, থাকবে, আসতেই থাকবে। নিজেকে একমাত্র বা একা ভাবার কিছুই নেই এখানে। কোণঠাসা করে রাখার উপায় নেই এখানে। কারণ আপনার আমার মত মানুষ আছে, আসতেই থাকবে একের পর এক। যতদিন যাবে তত আপনার আমার মত মানুষের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। নিজেকে সবার উপরে ভাবার উপায় নেই এখানে। ভাবছেন আপনিই একা করছেন কিংবা আপনিই প্রথম। অবাক হবেন যে আরো কত মানুষ করে গেছে যা আপনি আজকে করছেন কিংবা করার কথা ভাবছেন।

দীর্ঘদিনের বাইকিং জীবন আমার মতই আপনাকেও একগুয়েমি থেকে মুক্তি দেবে। ঔদ্ধ্যতাকে ঝাটা দিয়ে পিটিয়ে বিদায় করে দিবে। নিজেকে সেরা ভাবতে ভাল লাগে, বাইকিং এখানে আপনার মানসিকতার পরিবর্তণ এনে দিবে। মোদ্দা কথা, বাইকিং আপনাকে প্রশস্ত মন মানসিকতার করবে। আর এ জন্যই বলা হতো,

“Four wheels move a body, Two wheels move a soul.”

অনেকেই কথাটার অর্থ পাঠোদ্ধার করতে ব্যার্থ হন।

Biking somewhat cleanse your soul if you truly love biking and be diligent about it.

নেশা, পেশা, রেশারেশি, ঠেসাঠেসি


নেশা কি বাইকিং্যের নাকি ফেইমের?

নেশা কি বাইকের নাকি দৃষ্টি কাড়ার?

নেশা কি মোটরসাইকেল নাকি মডেলিং্যের?

বাইকিং নাকি ব্যবসা?

বাইকিং নাকি নিজেকে প্রমাণ করার নেশা?

বাইকিং নাকি মৃত্যুযাত্রা?

বাইকিং কি পেশার? তাহলে রাইড শেয়ার কি?

বাইকিং কি ভ্রাতৃত্বের নাকি রেশারেশির?

বাইকিং কি চরিত্রের স্খলন বা চারিত্রিক অধঃপতন নাকি চরিত্রের গঠন?

বাইকিং কি একঘেয়ে অনমনীয়তা নাকি নতুনত্বের ছোঁয়া?

বাইকিং কি পোশাক যে নারি-পুরুষের জন্য ভিন্ন?

বাইকিং কি শারিরীক গঠন, যে নারী বাইকার বনাম বাইকার নামকরণ?

এমন হাজারো নানা প্রশ্ন আপনাকে দিনশেষে বাইকিং আপনার সামনে তুলে ধরবে। এর সব উত্তর আপনি আমি কেউই দিতে পারবো না কারণ দিন শেষে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা দ্বারা সীমাবদ্ধ। তবে যে যেভাবেই প্রশ্নগুলোর উত্তর করুক না কেন, যে যেভাবেই বাইকিংকে চেটেপুটে, লুটেপুটে, সর্বনাশ করুক না কেন? যে যেমনে ইচ্ছে দেহ পাবি মন পাবি না শয়তানী কাজে বাইকিংকে ব্যবহার করুক না কেন, আপনার বাইকিংকে আপনার মত করে সুরক্ষিত রাখার কাজটা আপনারই। আপনার বাইকিং হয়ত সব প্রশ্ন আপনাকে ছুড়ে দেবেনা, সে হয়ত কেবলই বাইকিং কি নেশা না পেশা প্রশ্নের উত্তর খুজবে আপনার কাছে। হয়ত আমার কাছে খুজবে ভিন্ন কোন প্রশ্নের উত্তর যা আপনার সাথে হয়ত মিলবে না কিন্তু কারো না কারো সাথে মিলবে।

বাইকিং্যের দোষ দেয় সবাই। গতি ক্ষতি, নাতি পুতি নিয়ে টানাটানি করে, কেউবা কারো বউ বা নারী নিয়ে কিংবা প্রচলিত রীতিনীতি, নিয়ম কানুন নিয়ে। আপনার বাইকিং আপনাকে নিঃস্ব করতে পারে কিংবা করতে পারে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু কিংবা কাউকে জীবনের উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পারে কিংবা চারিত্রিক চরম অধঃপতনের পথে, তবে মনে রাখবেন আপনি একা নন, একমাত্র নন। বাইকিং কেবল একটি নির্দিষ্ট স্থান, পাত্রে সীমাবদ্ধ নয়। আপনার আর আমার বাইকিং তাই কখনই এক নয়। বাইকিং্যের সমস্যা নয় বরং বাইকারের সমস্যা বলতে শুরু করুন।

বাইকিং থেকে আপনি কি নিচ্ছেন?

যে যা ইচ্ছা করুক এই বাইকিং নিয়ে, কিন্তু আমার বাইকিং কখনই কলুষিত নয়। আর তা যেন না হয় তার দায়িত্ব আমার নিজের।


নারীলিপ্সা মেটাতে বাইকিং, বাইকিং করা নয়, এটা নিজের লিবিডোর চাহিদাপূরণ কেবল।


সাদা পানি – লাল পানি গলাধকরণ করতে বাইকিং করাটা, বাইকিং নয়, এটা সিএনজি ভাড়া করে মদ্যপান করতে গিয়ে, মদ খেয়ে নিজেকে সিএনজি চালক ভাবারই সামিল।

বাইকিং্যের নামে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়াটা বাইকিং নয়, বরং বাইকিং্যের পরিবেশকে দূষিত করার জন্য আবাসিক এলাকায় দেহব্যবসা খুলে টাকা কামানোর সামিল।

কেবল কথা দিয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করাটা বাইকিং নয় কারণ বাইকের পাশে দাড়ায়ে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে কি হবে যদি নিজের ভেতরটাকেই সুন্দর করতে না পারলেন, এই হিপোক্রেসি কার সাথে করছেন? হিপোক্রেসি কি বাইকিং?

জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশান থেকে বের না হয়ে বাইকিং্যে এনে এই লিংগ বৈষম্যকে পুজি করে যারা নাম যশ খ্যাতির চর্চা করছেন, বাইকিং আপনাদের জন্য সুন্দর না। এটা বাইকিং নয়।

বাইকিং্যের নামে নিজের শরীর প্রদর্শন বাইকিং নয়, কুরুচিপূর্ন মডেলিং আর যাই হোক বাইকিং নয়।

টাকা কামানো টাকা কামানো সেটা বাইকিং নয়।

আবার চাইলে এগুলো সবগুলোকে নিয়েও বাইকিং সাজিয়ে আপনি দিব্যি নাকে তেল দিয়ে মনের আনন্দে তেল পুড়িয়ে, অর্থ, সময়, শ্রম ব্যায় করে নিজের মনের মত করে সাজিয়ে নিতে পারেন নিজের বাইকিংকে, নিতে পারেন আত্মিক প্রশান্তি, পরিশুদ্ধি আনতে পারেন নিজের ও নিজের মানসিকতার।


তাই কে কি করলো তা না দেখে বরং আপনি নিজে কি করলেন তা দেখুন, তখনই বাইকিং প্রকৃত অর্থেই will move your soul… আপনার আত্মিক প্রশান্তি এনে দিবে, এনে দিবে শুদ্ধতা, পরিণত করে তুলবে সুন্দর মনের একজন সুন্দর মানুষে।

নিজের আত্মিক পরিশূদ্ধি আনার একটি মাধ্যম হোক এই বাইকিং।

Rolling2Wheels

ভাল থাকবেন।

APPLE & Aching WISDOM TOOTH

I don’t want to face a lot of things in life but lies are something that goes beyond anything. we two r like hammer and tong, especially, when someone tries to sell it to me as if it’s the truth. And Allah didnt allow me to exercise a lot of the usual mental faculty but did give me ways to read between lines…

Tomato is a fruit, it’s a common KNOWLEDGE but not putting it in a fruit salad is WISDOM..

Wisdom isn’t lying, it is the application of knowledge. Gathering knowledge is only half of the whole thing, the rest comes thru the application of that knowledge, that is, wisdom.

So if someone is trying to tell you to lie or hide the truth or spill half truth to reach your goal, then he or she is giving you a time bomb with a lit fuse. You can only enjoy it for a short time till you are completely destroyed. If someone tells you to manage something and you seek shelter of lying then you are doing it wrong because when you have gathered enough knowledge, it will show you the way to manage it without lying or cheating i.e. wisdom.

So to my young friends and countryman, have little patience, keep on gathering knowledge, wisdom will appear in the end. Don’t rush it coz then you may misidentify lie as wisdom.

Anyways, a quick rush of thoughts.

Take care.

মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা ও এর কারণ

ছোটবেলায় কাদায় হাটতে দিয়ে যতবার আছাড় খেয়েছেন বড় হয়ে কি খেয়েছেন ততবার? কেন খাননি?
শৈশব ও কৈশোরে যতবার শারিরীক আঘাত পেয়েছেন, বড় হয়ে কি পেয়েছেন? কেন পাননি?
উত্তর একটাই, কারণ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বেড়েছে।

আর এই কথা বলার কারণ হচ্ছে, মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার কারণ হিসাবে গতিকে দায়ী করেন অনেকেই। কথাটা ভুল, তবে অতিরিক্ত গতি একটি কারণ বৈকি, তবে তা দক্ষতা এবং রাস্তার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে।।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি গতিকে একদমই দায়ী করতে নারাজ। আমি দায়ী করি-

  • অনভিজ্ঞতা
  • অদক্ষতা
  • সাধারণ জ্ঞানের অভাব
  • লোক দেখানো বা নিজেকে তুখোড় রাইডার হিসাবে প্রমাণ করার প্রবণতা
  • মোটরসাইকেল সম্পর্কে কম জানা
    এই পাঁচটি বিষয়কে…

আপনার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, সাধারণ জ্ঞান এবং নিজেকে প্রমাণ করার প্রবনতা না থাকলে এবং মোটরসাইকেল সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি যে কাজগুলো সহজেই করতে পারবেন, তা নিম্নরূপ-

১) অনেক বড় সড় কারণেও আর ট্রিগারড হবেন না।
২) নিজের কমফোর্ট জোনের বাহিরে না যাওয়া…
৩) রাগ বা ফ্রাসট্রেশানকে দমন করতে সফল হওয়া।
৪) ট্রাফিক ভাইব বুঝে তাল মিলিয়ে চালাতে পারবেন।
৫) রাস্তায় কে ভুল করতেছে, কে ভুল ভাবে চালাচ্ছে, কে কি করতেছে তা নিয়ে খুব বেশি কনসার্ন হবেন না। কারণ আপনার নজর আপনার রাইড, রাইডিং এবং নিজের নিরাপত্তার দিকেই থাকবে।
৬) রাস্তার দু’ধারে থাকা বাজার বা পথচারী পারাপার বা স্কুল/কলেজের সামনে বা পাশ্ববর্তী রাস্তা সংযোগস্থলে নিয়ন্ত্রিত গতিতে পার হয়ে যাবেন।
৭) রাস্তা বুঝে গতিকে সামাঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে পারবেন।
৮) আপনার ও আপনার মোটরসাইকেলের লিমিট নয়, রাস্তার লিমিট বুঝে চালাতে পারবেন।
৯) নিজের দক্ষতার পুরোপুরি ব্যবহার না করেই শত শত মাইল চালাতে পারবেন, এবার হোক আকাবাকা রাস্তা বা সোজা রাস্তা।
১০) মোটরসাইকেলকে স্ট্রেস না দিয়েই, আপনি বেশ ভালই দুরত্ব অতিক্রম করে ফেলতে পারবেন।
১১) হুট করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাবেন না আর। বুঝে যাবেন রাস্তার কোথায় দাঁড়ানো নিরাপদ, কোথায় পার্ক করা নিরাপদ ইত্যাদি। আর এসব ছোট খাট ব্যাপারগুলোকে আর ছোট খাট লাগবে না।
১২) রাইডকে ইঞ্জয় করতে পারবেন। থ্রিল নিতে গতি নয় বরং চিলকে খুজবেন…
১৩) রাস্তায় আপনার জন্য সারপ্রাইজ কমে গেছে, অর্থাৎ আপনি আগে থেকেই দেখতে পেয়েছেন কে কোথায় কি করছে বা বুঝে গেছে কি করতে পারে…

এক কথায়, আপনি খুবই ফ্ল্যাক্সিবল হয়ে যাবেন রাইডের নিয়ম-কানুন, রীতিনীতি, পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে।

আর উপরের বারো/তেরোটি কাজ যদি আপনি বিনা দ্বিধায়, বিনা কসরতে করতে পারেন, আশা করি আপনার ভুলের কারণে দূর্ঘটনার কারণ ও শিকার হবার সম্ভাবণা কমে যাবে। অন্য কারো ভুলে বিপদ হবার সম্ভাবণাকে কমানোর ব্যবস্থা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষই করতে পারবে, আমি বা আপনি না…তাই অন্যকে সরাসরিভাবে শোধরানোর দায়ভার নিজের কাধে তুলে নিবেন না, তবে পরোক্ষভাবে সচেতন করে তুলতেই পারেন।

বিঃদ্রঃ মহাসড়কের কথা ভেবেই লেখাটি তৈরী করা হয়েছে তবে শহরের মাঝেও এর সুফল পাওয়া যেতে পারে।

Cigarrette and Words

I just woke up in the middle of the night. Felt like writing something. Lit a cigerrette, a few short puffs then a long one, it feels great. Feeling of smoke filling my lungs. It doesn’t worry me, damaging my lungs. Just enjoying…

I don’t know what is happening inside me or why am i so unsettled or what is unsettling me; may be i am not unsettled. Just this nagging feeling of going somewhere, far away from everything. I always wanted to go far, always felt this call. May be it is just my imagination or my mind is playing tricks with me. Whenever i get into some sort of rythym, i became unsettled. May be there is something wrong with me or i am just scared to push on. I am smoking, smoke fills my lung, i exhale again…

I don’t have any particular reason or subject to write about, only the urge to write something, anything. May be just to spend some time with words and thoughts. Again, i am not very good at putting my thoughts in words. Yet i do so every now and then. Sometimes it makes sense to me, sometimes it doesn’t. It is all a game, may be. May be i am trying reach someplace but everytime i reach a destination, something else beakons me…

What the hell. I finished my last cigarrette. It always ends so suddenly whenever i start to enjoy it. Am i scared of enjoying life because it is suppose to end suddenly? It makes me laugh sometime. It’s time stop this nonsense…

Good Night…

ভ্রমণপিপাসা

আমাকে কাছের অনেকেই প্রশ্ন করে, তুই ঘুরে কি মজা পাস? তাও এত কষ্ট করে বাইক চালায়ে, রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, শীতের মধ্যে কই কই যাস, কি মজা পাস? লেখাটা আমার উপলব্ধি নিয়ে, আপনার ক্ষেত্রে একেবারেই ভিন্ন উপলব্ধি হতে পারে…

ভ্রমণের ক্ষুধা আসলে আমার তেমন নেই 🥴, আমি নতুনত্ব পছন্দ করি তাই নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে পরিচিত গন্ডি ছেড়ে বের হয়ে যেতে চাই। কখনই এক গন্ডিতে নিজেকে আটকে রাখতে নারাজ আমি। সেই তাড়না থেকেই আসলে এদিক সেদিক ঘোরার শুরু কিন্তু ঘুরতে ঘুরতে সম্পূর্ণ ভিন্ন নেশায় ধরে গিয়েছে…জীবনের গল্প জোগাড় করা…

কিশোরগঞ্জ যাচ্ছি, বাইকের সমস্যা হচ্ছে বারবার ব্যাটারী চার্জ ফুরায়ে যাচ্ছে ফলে চার্জ দিতে হচ্ছে ঘন্টা খানেক পর পর। শুক্রবার ফলে দোকানপাটও তেমন খোলা নেই। নরসিংদি পার হয়ে, চালাকচর বাজারের এক দোকানে বসে আছি। বাহিরে হালকা বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তায় পানি জমে আছে এক হাটু… বেশ বয়স্ক একজন বৃদ্ধা, কেবল শাড়ি পরে সেই বৃষ্টির মাঝে জমাট জলের ধার ঘেষে হেটে হেটে আসছেন, দেখেই মনে হলো, “আমি ভাবতেছি আমিই ভীষণ বিপাকে আছি। কি মধুর সমস্যা আমার”… দোকানের সামনে আসতেই ওনাকে জিগেস করলাম আসয় বিষয়। ওনাকে দেখার কেউ তেমন নেই, নাতি আছে তাও ছোট… আমার ভীষণ হাসি পাচ্ছিল, এই কিছুক্ষণ আগের নিজের সমস্যা নিয়ে ব্যাতিব্যাস্ত, হাসফাস করা আমাকে নিয়ে। কতটুকু কি করতে পারলাম জানি না তবে আমার জন্য দোয়া করতে বলে বিদায় নিলাম।

নামাজ পড়ব কোথায় ভাবছি কারণ শুনশান রাস্তা, আশেপাশে একটা ঘরও নাই। মসজিদই বা কই থাকবে…আর এই জায়গায় মাইক কি আর থাকবে যে আযান শুনতে পাব আর মসজিদ খুজে পাব… রাস্তারও যা ছিরি, কোনদিকে তাকাবার উপায়ও নেই… এমন সব ভাবতে ভাবতে এগোচ্ছি, আর একটা ছোট ঘর দেখে দাড়ালাম, আশেপাশে মসজিদ আছে কিনা জিগেস করবো, দেখলাম ঐটাই মসজিদ কারণ আযান দিতে তৈরী হয়েছেন মুয়াজ্জিন…

দেখেছি, ঠিকমত সিজদা দিয়ে বসতে পারেন না, হামাগুড়ি দেয়ার মত করে বসেন কিন্তু নামাজ পড়ছেন…মানসিক প্রতিবন্ধি কিন্তু নামাজ পড়ছেন…দেশের আনাচে কানাচে এত রকম জীবনের মুখোমুখি হয়েছি কিন্তু কোথাও নিজেকে এগিয়ে রাখতে পারিনি।

না হয়েছি হাইল্লা, না হয়েছি জাইল্লা…

দেখা হয়েছিল অনীল চন্দ্র বর্মণ, একজন পান ব্যবসায়ীর সাথে…গল্প করেছি জেনেছি তার জীবনের কাহিনী। পাঁচ সন্তানের গর্বিত পিতা, ছেলেরা ডাক্তার হয়েছে, মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন, নিজেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন।

নানাবিধ জীবনের এই যে সংমিশ্রণ তা ভ্রমণে না গেলে কোণদিন জানা সম্ভব ছিল না, অনুধাবণ হতো না নিজের নগণ্যতাকে।

জায়গাটা কখনোই আমার জন্য মূখ্য নয়, মূখ্য হয় এই জীবনের নানা গল্পগুলোই…

সে এক অন্যরকম অনুভূতি। গাজীপুর বাইপাস, পুরা রাস্তা জ্যাম কিন্তু বাইক যেতেই পারে তারপরো চা খেতে বসে দোকানদার দাদুর দাদীর সাথে নানা খুনসুটি সে এক অন্যরকম আবেগ জাগাবে।

তাড়াহুড়ো করে কখনও পাবেন না এসবের স্বাদ, দেখতে পাবেন না নিজের সীমাবদ্ধতা আর সীমাবদ্ধতাকে ডিঙ্গাতে না পারলে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করাটাই স্বাভাবিক। কত সাধারণ মানুষ যে কত দিক দিয়ে আপনার আমার থেকে উর্ধ্বে কিংবা উন্নত তা গল্প বলে বোঝানো দুষ্কর, তাই বেরিয়ে পড়ুন সময় পেলেই…

সামান্য কটা টাকা ব্যায় করে এর চেয়ে বেশি রিটার্ন আর কিছুতে আসে বলে মনে হয় না।

ভাল থাকবেন। জীবনের গল্প গুলো সবসময়ই সতেজ, সুন্দর, সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর যদি তরতাজা ক্ষেত থেকে তুলে নিতে পারেন…

What i want to have in my ride

List of (imaginary) gadgets/ things i want in my bike…

  1. প্রতিটি বাইক নিজস্ব স্টাইলের হেলমেট নিয়ে আসবে অর্থাৎ বাইকের সাথেই হেলমেট আসবে। এতে ক্রেতাকে আরো বেশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দিতে পারবে কোম্পানীগুলো। বাইক বুঝে গুনগত হেলমেট সংযোজিত থাকবে। যেমন উচ্চ গতি বা পার্ফরফেমন্স বাইকের সাথে চারটি সার্টফিকেশান সম্বলিত হেলমেট দেয়া থাকবে। এতে কোম্পানীগুলো নিজেদের স্বকীয়তা ধরে রাখার জন্য হেলমেটে তার ভোক্তাদের সুবিধা দিতে নানা ফিচার এড করে দিতে পারবে বা দেয়ার সুযোগ পাবে।
  2. মিটারে ইন্টিগ্রেটেড নেভিগেশান সিস্টেম, যা ব্লুটুথ হেলমেট সিস্টেমের মাধ্যমে দিক নির্দেশনা দিতে পারবে বাইকারকে।
  3. একটা ইমার্জেন্সি সিস্টেম, যাতে বাইক এক্সিডেন্ট হলে প্রিপ্রোগ্রাম নাম্বারে কল এবং লোকেশান চলে যাবে এবং আন অথরাইজড কেউ বাইক স্টার্ট করার চেষ্টা করলে রাইডার কে কল করতে পারবে…
  4. নাইটভিশন হেলমেট…
  5. হেন্ডেলবার এয়ারব্যাগ বা এয়ারব্যাগ হেলমেট… সাধারণত মুখোমুখি সংঘর্ষে রাইডারের মাথা সামনের গাড়ির সাথে বাড়ি খায় ফলে এমন একটা সিস্টেম করা যেন এয়ারব্যাগ সেটা রোধ করতে পারে।
  6. ওজন নির্দেশক। রাইডারের ওজন বা, বাইকে বর্তমানে কি পরিমানে ওজন চাপানো হয়েছে সেটা ইন্ডিকেট করতে পারবে।
  7. টায়ার প্রেশার নির্দেশক…
  8. পূর্ব নির্ধারিত নাম্বার থেকে মোটরসাইকেলকে কল করতে পারবে মুথাসাইকেলের লোকেশান জানার জন্য…তবে লোকেশান শেয়ারিং ডাইনামিক এবং ফিক্সড উভয় অপশান থাকতে হবে।
  9. হেলমেট এটাচ সিস্টেম যেন হেলমেট নিরাপদে বাইকে লক করে রেখে যাওয়া যায়।

Come Closer; Our BONE aches

People expects you to explain what they don’t understand; so you don’t explain because even if you do they won’t understand it.
Your friends in higher places think you’re living in the dream but those who are around you think, ‘what a fool you are’…

You have grown up…

You are still young in your heart, you hate to grow old there but the aches in your bones announces the coming of a time when all your will won’t be enough to make a sarcastic jokes or go crazy for something or someone whom you have never seen..
Your heart wont race faster than you can bear…
You won’t ever walk to the window at night to surprise someone..

Play this song once again
https://www.youtube.com/watch?v=keL1Xbg7AUk

“My last made me feel like I would never try again
But when I saw you, I felt something I never felt
Come closer, I’ll give you all my love
If you treat me right, baby, I’ll give you everything”

Our bone aches deep within our heart, ringing the bell in remembrance of those time, when the speed rushed thru our vein dragging the adrenaline out in the open
or
about that time, when we waited ten minutes that felt like a decade
or
that time when seeing a face was enough to call it a good day
or
about that bend which we screwed up and yet we made it thru somehow…


such was the rush…LIVING on the EDGE


Can they truly understand that?

Most people want me to explain something that isn’t suppose to stay within the realm of their understanding; it can materialize here, there, everywhere; it goes beyond the realm of imagination, understanding, beyond the sensory world around them, beyond the limited number of wheels…

It overlaps the realm of matter or object, it rushes EVERYWHERE. it touches EVERYTHING..
It resembles every known experience…
It holds everything in BALANCE at such a break neck speed that it gets SCARY, yet there is a RHYTHM… rhythm of life curved on the EDGE of danger and safety

Edge or no edge…rush or no rush…
OUR BONE ACHES

Aches for the time we can remember…


So let the aches be worth bearing..


Come closer, i’ll give you all my love.. if you treat your time in the way you wanted, it will always give you everything in the end before you blow head gasket…

WE JUST FIGURED IT OUT QUICKER THAN THE REST, RIDING AT A BREAK NECK SPEED

সাধারণ শক এবজর্বার VS গ্যাস চার্জড শক এবজর্বার-Conventional pure Shock Absorber Vs GAs charger shock absorber

মোটরসাইকেলের জন্য শক অবজর্বারের গুরুত্বের কথা নতুন করে কাউকে বোঝানোর কিছু নাই, তবে বিভিন্ন কোম্পানীর মার্কেটিং টেকনিক এর খপ্পরে ভ্রান্তিতে পড়া থেকে বাচতে পুরো লেখাটা পড়তে পারেন, আশা করি কাজে লাগবে।

শক এবজর্বার কিভাবে কাজ করে? স্প্রিং এর সংকোচন দ্বারা এনার্জি শোসন করে নেয় এবং হাইড্রলিক ডেম্পেনারের মাধ্যমে সেই এনার্জি দূর্বল করে দেয়। হাইড্রলিক ডেম্পেনার তেমন ভেজাইল্লা কিছু না। একটা পিস্টন ও একটি সরু ছিদ্রপথ থাকে, তা দিয়ে চাপে তেল এদিক সেদিক আসা যাওয়া করে, কিছুটা ইঞ্জেকশানের সিরিঙ্গের মত। যেহেতু স্পিং লোডেড তাই একবার কম্প্রেস বা এনার্জি এবজর্ব করার পর, স্বয়ঙ্গক্রিয়ভাবে আগের অবস্থানে ফেরত চলে যায়। সিরিঞ্জের মুখে সুই লাগালে যেমন আপনি যত শক্তি প্রয়োগ করেন না কেন সেটার তীব্রতা লাঘব হয়, ঠিক সেভাবেই শক এবজর্বার কাজ করে।

এই পদ্ধতিটি (পিওর হাইড্রলিক শক) তখনি কার্যকর যখন পিস্টনের গতিবিধি কম থাকে (up to 3 Hz) বা ঘন ঘন উঠানামা করে না। এবার পিস্টন  তার গতিপথের পুরোটা পাড়ি দিলেও যা, না দিলেও তা, অর্থাৎ, শক পুরা খেললেও যা, কম খেললে ও তা। যেমন আপনি যখন ধীর গতিতে চলছেন এবং রোডে বাম্প তেমন নাই। কিন্তু এরকম সিনারিও তে গ্যাস শক এবজর্বার তেমন ভাল কিছু দেয়ার থাকে না। কিন্তু যখন শকের পিস্টন খুব দ্রুত উঠানামা (5~10 Hz) করে, যেমন যখন আপনি দ্রুত গতিতে চলছেন তখন ১০০% হাইড্রলিক শক এবজর্বার খুবই বাজে পারফর্ম করে। এর মূল কারণ হচ্ছে তেলের রেস্পন্স সময় বেশি। শকের পিস্টন যখন দ্রুত চলাফেরা করে তখন তেল পিস্টন পেরিয়ে যেতে যে সময় ব্যায় হয় তাতে ডেম্পিং ফোর্স তৈরী করতে দেরী হয়। ফলে শক এবজর্ব  বা শোষন হয় না ফলে রাইড একদমই আরামপ্রদ হয় না।  ধরূন সিরিঞ্জ দ্রুত আপনি পুস করছেন আবার টানছেন, আপনি টান দিতে চাচ্ছেন কিন্তু তেলের রেসপন্স সময় বেশি বলে আপনি টানতে পারছেন না আর ঐদিকে আবার পুশ করার সময় হয়ে গেছে ফলে এনার্জি শোষিত হচ্ছে না এবং আপনার রাইড হার্ড টেইল বা শক ছাড়া বাইকের মত আচরণ করছে।
সামান্য সময়ের জন্য ডেম্পিং ফোর্সের এই অনুপস্থিতি আপনার রাইডকে বাম্পি করে তোলে, আপনি চাকার গ্রিপ হারাতে পারেন, এমনকি বাইকের নিয়ন্ত্রণও হারাবেন।

আর এই সমস্যার সমাধান করার জন্যই গ্যাস শক এবজর্বারের আগমণ ঘটেছিল। এই পদ্ধতিতে পিওর হাইড্রলিক শক এবজর্বারের মত তেল ডেম্পিং ফোর্স তৈরী করে আগের মতই কিন্তু এখানে প্রেশারাইজড গ্যাস সাপোর্ট থাকে যার চাপ পরিবেশের স্বাভাবিক চাপ থেকে বেশি থাকে। আর তেলের উপর এই এক্সট্রা চাপের কারণে তখন আর আগের সেই ল্যাগ টাইম থাকে না আর ডেম্পিং ফোর্স তৈরী করতে, এবার পিস্টন দ্রুত চলুক বা ধীরে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয় কারণ তাপের সাথে এর চাপের পরিবর্তন বায়ুর তুলনার অনেক কম হয় যা শকের জন্য ভাল হয়।

গ্যাস চার্জড শক বানাতে, তেলের সাথে গ্যাসের মিশ্রণ করে এবং শকটি মোটরবাইকে উলটো করে লাগানো হয়, আর নাইট্রোজেন যেহেতু বাতাসের চেয়ে হালকা হয় তাই গ্যাস উপরের দিকে উঠে থাকে এবং প্রয়োজনীয় কাজ করে। তবে তেল ও গ্যাসের মধ্যে কোনও বাধা না থাকায় গ্যাস তেল মিশে ইমালসন তৈরি করে, যা পিস্টনে চলা চলে বাধা প্রদান করে। তাই রেকমেন্ডেড হচ্ছে গ্যাস এবং তেল আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা। এবার গ্যাস কেনিস্টার যুক্ত করেন বা গ্যাস এমন অবস্থানে রাখা যা পিস্টনের গতিবিধির সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ। তবে কেনিস্টার ওয়ালা শকের থেকে ইনলাইন শকের উচ্চতা বেশি থাকে, ফলে বাইকের সিট হাইট বাড়ে যেহেতু শকের বেশি জায়গা লাগে।

গ্যাস চার্জড শকের কার্যকারীতার পেছনে গ্যাসের প্রেশার বা চাপ খুবই গুরুত্ব বহণ করে আর এই চাপ নির্ধারিত হয় কি পরিমাণ ডেম্পিং ফোর্স আসলে তৈরী করার ইচ্ছা তার উপর ভিত্তি করে। যদি সঠিকভাবে চাপ নির্ধারণ করা না যায়, তাহলে গ্যাস চার্জড শক খুবই খারাপ পারফর্ম করবে এমনকি ১০০% পিওর হাইড্রলিক শক থেকেও খারাপ। “recommended that not less than 10 Bar gas pressure on twin type shock absorbers & 15~25 Bar gas pressure in mono-shock type of shock absorbers”।

তাই গ্যাস থাকলেই যে শক ভাল পরফর্ম করবে আর  পিওর হাইড্রলিক শক মানেই খারাপ পারফর্ম করবে তা বলা যায় না।